নার্সিং একটি মহৎ পেশা এবং সেবামূলক কাজ। পৃথিবীতে যত মহৎ পেশা আছে নার্সিং তার মধ্যে অন্যতম। বিগত কয়েক দশকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিপুল সম্প্রসারণের সাথে নার্সিং পেশাটির বিপুল সম্প্রসারণ ঘটেছে। বর্তমানে আমাদের দেশে একজন ডাক্তারের সাথে সহকারি হিসেবে চারজন নার্সকে সার্বক্ষণিক থাকতে হয়। তাই আমাদের দেশে দিনে দিনে অনেক মানুষ নার্সিং পড়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে।
নার্সিং ৪ বছর মেয়াদী একটি কোর্স। আমাদের দেশে বর্তমানে নার্সের চাহিদা অনেক। নার্সকে ২য় শ্রেণির কর্মকর্তা বলে গণ্য করা হয়। বহিঃবিশ্বে এই পেশার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি খাতে নার্সদের বিপুল সংখ্যক পদ শূন্য রয়েছে। বলাবাহুল্য একজন রোগীর ক্ষেত্রে একজন নার্সের ভূমিকা ও গুরুত্ব অপরিসীম। একজন ছাত্র/ছাত্রী S.S.C পাশ করে নার্সিং কোর্সটি শেষ করে সে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি যে কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ পাবে। দেশে বিদেশে নার্সিং পেশার ব্যাপক চাহিদা থাকায় নার্সিং কোর্সটি শেষ করে দেশের বেকারত্ব মোচন এবং বিদেশে চাকরি করে দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে। বর্তমানে B.Sc নার্সিং কোর্স চালু হয়েছে।
ভর্তির যোগ্যতাঃ
১। প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
২। আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ২২ বৎসরের মধ্যে হতে হবে।
৩। যে কোন শিক্ষা বোর্ড হতে এস.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষায় GPA(Grade Point Average) ন্যূনতম ২.৫০ এবং এইচ.এস.সি বা সমমানের পরীক্ষায় GPA(Grade Point Average) ২.৫০ পেতে হবে। তবে বিজ্ঞান শাখায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
৪। প্রার্থীকে সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী এবং অবিবাহিত হতে হবে।
এই কোর্স পড়তে প্রয়োজনীয় ল্যাব সমূহঃ
1. Anatomy Lab
2. Physiology Lab
3. Community Medicine Lab
4. Microbiology Lab
5. Chemistry Lab
6. Physics Lab
7. Transfusion Lab
8. Nursing Lab
9. Midwifery Lab
চাকরির ক্ষেত্রসমূহঃ
১. সরকারি/বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহে নার্স হিসেবে নিয়োগ।
২. সরকারি/বেসরকারি হাসপাতালে নার্স হিসেবে নিয়োগ।
৩. ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নার্স হিসেবে নিয়োগ।
৪. বিদেশে চাকরির সুুযোগ ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ।