পরিচালকের বানী
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্য সহায়ক জনবল তৈরির বিকল্প নেই। রাষ্ট্রের নিকট জনগণের অন্যতম চাহিদার একটি হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা। দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে হলে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। এজন্যই সরকার জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি নির্ধারণ করেছে যার উদ্দেশ্য হচ্ছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে সংবিধান ও আন্তর্জাতিক সনদ সমূহের আলোকে চিকিৎসাকে অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। সরকার স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোড় গোঁড়ায় পৌঁছে দিতে হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চালু করলেও সেগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক মানসম্মত জনবলের অভাবে সরকার তার কাঙ্খিত লক্ষ্যপূরণ করতে পারছে না। এজন্য স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি সাধন করতে হলে প্রয়োজন চিকিৎসকের পাশাপাশি হেলথ এ্যালাইড কোর্সগুলোতে আরও সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা। যার মাধ্যমে তৈরি হবে স্বাস্থ্য সেবায় একদল মানসম্মত স্বাস্থ্য সহায়ক কর্মী। সে লক্ষ্য পূরণে ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সাইক বাংলাদেশ কারগরি প্রশিক্ষণ অগ্রগতি ও কেন্দ্র। ডিপ্লোমা পর্যায়ের বিভিন্ন কোর্সে প্রতি বছর নির্ধারিত সংখ্যক আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে মানসম্মত টেকনোলজিস্ট, ফিজিওথেরাপিস্ট, ডেন্টিস্ট, নার্স ও সহকারি ডাক্তার তৈরি করছে এবং এদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সমাজে মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি পল্লী চিকিৎসকেরা দেশজুড়ে তাদের অবদান এবং সেবা দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। দেশজুড়ে আমাদের রয়েছে নিজস্ব সংগঠন “আমরা গ্রাম ডাক্তার বাংলাদেশ”। এখানে রয়েছে ৪ লাখ পল্লী চিকিৎসক।সর্ট কোর্সগুলো মানুষের জীবনে আর্শিবাদ স্বরূপ এবং এই সর্ট কোর্সগুলো জীবনে ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়া যায়।
(হালিমা বেগম সাদিয়া)
পরিচালক
বাংলাদেশ কারগরি প্রশিক্ষণ অগ্রগতি ও কেন্দ্র (বিটিটিডিসি)